সৌদি আরব থেকে ১৭০০ বাংলাদেশী কর্মীকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে সৌদি আরবের একটি কোম্পানি।
সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মদিনায় অবস্থিত ‘বিয়াহ্ ক্লিনিং কোম্পানি’ প্রায় ১৭০০ বাংলাদেশী কর্মীকে ফাইনাল এক্সিট দিয়ে সৌদি থেকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ ‘বিয়াহ্ ক্লিনিং কোম্পানি’র ক্যাম্পে অবস্থানরত একজনের অফিসিয়াল এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, দীর্ঘ কয়েক দিন যাবৎ বেতন বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশি শ্রমিকেরা কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন আন্দোলন করে যাচ্ছে, আন্দোলন থামাতে না পেরে কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ১৭০০ শ্রমিক দেশে পাঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কিন্তু কোম্পানিতে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিকের সাথে কথা বল্লে তারা ভিন্ন কথা বলছেন। তারা জানান, ওই কোম্পানির বিভিন্ন সেকশনের বাংলাদেশি সুপারভাইজারদের সিন্ডিকেটের শিকার সাধারণ শ্রমিকরা। তারা শ্রমিকদের কাজ থেকে ৫০০/১০০০ রিয়ালের বিনিময়ে সাধারণ শ্রমিকদের কাজের ধরন পাল্টানোর অভিযোগ উঠেছে।
এসবের জের দরে বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন মারামারি ভাঙচুরের কারণেই কোম্পানির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করেন শ্রমিকদের আরেক অংশ।
তবে এ বিষয়ে জেদ্দা কনস্যুলেট লেবার কাউন্সিলর কাজী এমদাদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি জানান, উক্ত কোম্পানি তে মোট ২ হাজার ২২৫ জন বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে তাদের। এই ২২২৫ জন শ্রমিকের মধ্যে থেকে যারা বিভিন্ন সময়ে কর্মবিরতি ও বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন করে আসছে তাদের ভেতর থেকে ১ হাজার ৭ শত জন বাংলাদেশি শ্রমিককে ফাইনাল এক্সিটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা, তবে তারা জানান এসব শ্রমিক কে দেশে পাঠানোর আগে তাদের সব পাওনা পরিশোধ করে তাদের পর্যায়ক্রমে নিজ দেশে পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান গত দুদিন থেকেই আমরা এ বিষয়ে মদিনা লেবার মিনিস্ট্রিসহ ওই কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলাপ-আলোচনা করছি। জেদ্দা কনস্যুলেটের লেভার কাউন্সিলরের একটি প্রতিনিধি দল সেখানে এখনো অবস্থান করছেন।
জেদ্দা কনস্যুলেটের লেভার কাউন্সিলর কাজী এমদাদুল ইসলাম আরও বলেন, ওই কোম্পানি তে মোট ২২ শতাধিক শ্রমিক কাজ করে যাদের মধ্যে থেকে ৫ শত ২৫ জন শ্রমিক কোম্পানি রাখবেন এবং বাকিদের নিজ দেশে পাঠানো হবে, কোম্পানির সঙ্গে ঐসব শ্রমিকদের চুক্তি শেষ হওয়ার মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি সপ্তাহে। আর শ্রমিকরাও আমাদের জানিয়েছেন তারা দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর কাজ করেছে এই কোম্পানিতে। তাই তারা সব পাওনা বুঝে নিয়ে ই দেশে যেতে চায়।